রবিবারের অলস দুপুরে গান শুনছি, প্রতিটা নোট গিলছি। গিটারের সোলো, ড্রামের হাই হ্যাটে মৃদু দুই একটা ফিল-ইন। বেজ গিটারে একটা লম্বা রিফের আমেজ, কিবোর্ডে ভরাট, ঘর গম্ভীর করা কোন কর্ড। লিরিকের মারপ্যাঁচ, গায়কের নিজের পুরোটা দিয়ে গাওয়া।
এরকম ভালোবাসায় বিশ্বাসী নও তুমি
অথচ তোমাকে দেখি আমি
অজস্র ছায়ার মাঝে দাঁড়িয়ে
কি যেন খুঁজছ তুমি।।
শুনতে শুনতে মনে হচ্ছে এই গানগুলো আর কোনদিন থামবে না। গানের চরিত্রগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
সব আলো নিভে যাক আঁধারে
শুধু জেগে থাক ঐ দুরের তারারা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়
শুধু জেগে থাক এই সাগর
আমার পাশেসব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে
থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এখানে
স্পন্দনের কাছে আমরা জিম্মি। oscillation দ্বারা প্রতিটা জিনিস পরিচালিত হয়, আমরা পৃথিবীর সন্তানরা বাদ যাবো কেন? শ্রুতিমধুর শব্দের কাছে, রিদমের কাছে আমরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য।
তাহসানের প্রেমাতাল শুনছি, ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসার পর মাঝখানে ইয়েলো ব্রিক রোড শুনে আবার ফেরত আসছি অঞ্জন দত্তের কাছে। বেলা বোস আর মালার তালে গলা মিলিয়ে আবার ফেরত এসেছি বিন্দু তে।
বিন্দু আমি তুমি আমায় ঘিরে
বৃত্তের ভেতর শুধু তুমি আছো।
মাতাল আমি তোমার প্রেমে
তাই অর্থহীন সবই যে প্রেম লাগে।
বৃহস্পতির বলয় ঘিরে
শনিতে আজ আমি পৌঁছে গেছি।
তোমার প্রেমে পাগল হয়ে
পাগলামির ভাবসম্প্রসারণ করছি।।
গান আর না থামুক। চলতে থাকুক সারাদিন, সারা বছর, বছরের পর বছর। আমার চামড়া ঢিলে হয়ে পাকানো দড়ির মত হয়ে যাক। চুল আর দাঁত সব পড়ে যাক। থুড়থুড়ে বুড়ো হয়ে বেঁচে থাকবো, আর গান, গানের কথা, সুর আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। তারপর গান শুনতে শুনতেই একদিন বিদায় নেবো, কিন্তু কোন আক্ষেপ থাকবে না। সুখি হবার জন্য খুব বেশি কিছু লাগে কি?